বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
আমিনুর রহমান,নবাবগঞ্জ: গত ৩ মার্চ সোমবার বাহ্রা ৬নং ওয়ার্ড সোনারগাঁও গ্রামে সরকারি খাস জমিতে মাটিকাটার ভূলক্রমে এ্যাড. খলিল সহ যাদের নাম ছিল সেটা সম্পন্ন ভিত্তিহীন। এ্যাড. খলিল একজন সম্মানিত ব্যক্তি তার নামে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করার জন্য আমরা ক্ষমা প্রার্থী অস্থায়ী রাস্তা বানিয়ে রাতের অন্ধকারে বেকু দিয়ে মাটি কেটে মাহিন্দ্র দিয়ে উক্ত মাটিগুলো অবৈধ ইট ভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। ঐ এলাকায় বসবাসকারী কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তির ক্ষমতার দাপটে সরকারি জমিগুলো বড় বড় গর্ত করে বেকু দিয়ে মাটি কাটছে। যাদের ক্ষমতার দাপটে সরকারি কৃষি জমি ক্ষতি স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন।
পরিত্যাক্ত সরকারি খাস জমির আশে পাশে ব্যক্তিগত মালিকানা জমি রয়েছে উক্ত জমিতে বোরো মৌসুমে ধান চাষ, অন্যান্য মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করে থাকে। সেই চাষাবাদকৃত জমির পাশ থেকে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। অবৈধভাবে মাহিন্দ্র/ বেকু দিয়ে মাটি খনন করে জমিগুলা নষ্ট করে দিচ্ছে। সরকারি খাস জমি কিছুটা নিচু হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানি চলাচলে পাড় ভেঙ্গে কৃষি জমিগুলো নষ্ট হয়ে ফসল ফলানোর বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে ধারনা করেছে স্থানীয় কৃষক। এদিকে গত তিন (৩মার্চ) মাস ধরে নবাবগঞ্জ উপজেলা বিভিন্ন স্থানে কৃষি (তিন ফসলি) জমির মাটি বিক্রির মহাৎসব চলছে। শুধু এ বছর নয় বিগত নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাস আসলেই এই অঞ্চলের কৃষি জমিগুলো মাটি বিক্রির ধুম পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে সরকারি কৃষি জমি কেটে মাটি বিক্রি করায় এই অঞ্চলে প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে আবাদি কৃষি উৎপাদিত ফসল। স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট চলে ঐ এলাকার মাটি কেটে বিক্রি।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসমা জাহানা বলেন, এভাবে কৃষি জমির মাটি বিক্রি করলে আট ইঞ্চি পর্যন্ত জমির উপরে যে অংশ রয়েছে, সেই টপ সয়েল কমে যায়।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলরুবা ইসলাম বলেন- সরকারি জমির মাটিকাটার বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চলমান রয়েছে। এদের বিষয়ে একাধিক ভ্রাম্যমান আদালত করে সাজা দেয়া হলেও থেমে নেই। রাতের আঁধারে তারা সিন্ডিকেট করে মাটি কাটছে।